সম্ভাবনাময় চরাঞ্চল বেষ্টিত উপকূলীয় দশমিনা, গবাদীপশু পালনে কেউ এগিয়ে আসছে না

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্য সংকট অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থা, মানুষের সচেতনতার অভাব সহ বিভিন্ন কারনে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। চরাঞ্চল প্রধান দশমিনায় গবাদি পশু পালনে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সরকারী বেসরকারী ভাবে কেউ এগিয়ে আসছে না। বছরে যেখানে এ উপজেলার মানুষের চাহিদার কয়েকগুন বেশি গরু-মহিষের দুধ উৎপাদন সম্ভাব। সেখানে বর্তমানে চাহিদার শতকরা ২৫ ভাগও দুধ উৎপন্ন হচ্ছেনা। মানুষ ভুগছে পুষ্টিহীনতায়। বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে মোট ৩৪ হাজার ৬৪০টি গরু ও ৫ হাজার ৩০৮ টি মহিষ রয়েছে।

 উপজেলা স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে এ উপজেলায় মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৪৩হাজার ২৩৪জন। প্রতিদিন প্রতি মানুষের গড়ে ২শ মিলি লিটার দুধের প্রয়োজন। বছরে এ জনসংখ্যার দুধের চাহিদা ১০ হাজার ৪ শত ৪৫ মেকট্রিকটন। অথচ বর্তমানে ৬ হাজার ৪ শত ৯৪ মেট্রিকটন গরু মহিষের দুধ উৎপন্ন হচ্ছে । এর মধ্যে গরুর ৬ হাজার ১ শত ১২ ও মহিষের ৩ শত ৮২ মেট্রিকটন দুধ উৎপাদন হয়। প্রতি বছর ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৪ হাজার ৩ শত ৪৩ মেকট্রিকটন দুধ। এ তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

৩৫৪ দশমিক ৭৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে এ উপজেলায় ছোট বড় ৭টি চর রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩৯ হাজার ৭৫০হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হয়। অথচ বিপুল সংখ্যক গবাদি পশুর জন্য এক ইঞ্চি জমি চারন ভূমি হিসাবে রাখা হয় না। চারন ভূমি সংকটের এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন বন বিভাগ। উপকূলীয় চরাঞ্চলের বিস্তীর্ন বনাঞ্চলে গবাদি পশু চারনের সুযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একশ্রেনী কর্মচারী, কর্মকর্তা প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতি বর্ষা মৌসুমে প্রতিটি বনাঞ্চলে গরু মহিষে ভরে যায়। এতে বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রোপা আমন ধান উঠে গেলে প্রায় ৪হাজার ৮১১দশমিক ২৫হেক্টর জমি দীর্ঘ কয়েক মাস অনাবাদি পড়ে থাকে। এ সময়ও ঘাসের চাষ করা হয়না। ফলে গবাদি পশুর খাদ্য ঘাসের তীব্র সংকট দেখা যায়। চারন ভূমি ও ঘাস বা খাদ্য সংকটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমি অফিসকে দায়ী করছেন। ভূমি অফিস খাস জমি বন্দোবস্ত দিতে আগ্রহ হলেও চারন ভুমির জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর